Recommended Books
-
‘গল্পে গল্পে আল-কুরআন’ সিরিজ (১-৫ খণ্ড)
আপনার শিশু নিশ্চয়ই গল্প শোনার বায়না ধরে, কখনোও-বা কিছু পড়তে চায়। তখন আপনি কী করেন? কী গল্প শুনিয়ে দেন? আচ্ছা, তাদের হাতে কি রূপকথার কোনো গল্পের বই তুলে দেওয়া কথা ভাবছেন? তাহলে নিশ্চিত থাকুন- মনের অজান্তেই শিশুর মনে শিরক ও কুফরের বীজ বপন করে দিচ্ছেন।
অথচ, পবিত্র কুরআনেই রয়েছে অসংখ্য চমৎকার কাহিনি, ভ্রমণ বৃত্তান্ত, পৃথিবীর সেরা ব্যক্তিদের জীবনী, মন্দ লোকদের করুণ ইতিহাস, শিক্ষামূলক ঘটনা, সঠিক পথে পরিচালিত করার দিক-নির্দেশনা, দুআ ও প্রার্থনা। এসবই আমাদের আলোর পথ দেখিয়ে দিতে পারে। কুরআনুল কারিমের অনুপম কাহিনিগুলো পড়ে আমাদের শিশুরা তাদের জীবনের দিশা খুঁজে পাবে। শিশু-মনে বিশ্বাসের পরশ বুলিয়ে দিতেই ‘গল্পে গল্পে আল কুরআন’ সিরিজ।
এ সিরিজ শিশুদের জন্য দারুণ এক উপহার। এ সিরিজ পড়ে শিশুরা সাহসী, আত্মবিশ্বাসী, সত্যবাদী এবং মা-বাবার জন্য সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে গড়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
৳ 450.00 -
অ্যা লেটার টু অ্যাথিইস্ট
সমাজবিজ্ঞানের মোড়কে ‘বস্তুবাদ’ গিলতে গিলতে, জীববিজ্ঞানের মোড়কে ‘বিবর্তনবাদ’ লজেন্স চুষতে চুষতে হতাশার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকি, ‘মার্ক্সবাদ’ কিংবা ‘লেলিনবাদ’-ই তাহলে একমাত্র আশা। এই সুযোগে ডেভিড হিউম এসে কানে কানে বলে যায়- ‘আরে ধুর, স্রষ্টা কী, আর ধর্মই-বা কী, বাদ দাও তো বাপু! এসবের ভিত্তি আছে নাকি? এসো তোমাকে আলোর পথ দেখাচ্ছি।’ ব্যস, আমরাও চোখ বন্ধ করে আরাধ্য পথ হাতড়ে বেড়াই।
এই হলো জাহেলিয়াতের রূপ। রূপ দেখলেও তার স্বরূপ দেখেছেন কখনো? সময় করে একটু ঘুরে আসুন মুহাম্মদ আসাদের ‘ইসলাম অ্যাট দ্য ক্রস রোডস’ স্যামুয়েলস পি হান্টিংটনের ‘দ্য ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন’ কিংবা প্যাট্টিক গ্লাইনের ‘গড : দ্য এভিডিয়েন্স’-এ। এসবে আপনি দেখবেন ঈশ্বরের নামে বানানো মানুষের তৈরি মূর্তি আর ধর্মগ্রন্থের নামে বানানো নানান মিথোলজির সঙ্গে বিজ্ঞানের তুমুল ঝগড়াতে নাস্তিক্যবাদের জন্ম হয়েছে। সে ঝগড়ায় ইসলাম ছিল অনুপস্থিত।
কিন্তু হাল জামানার নাস্তিকতা মানেই ইসলামের বিরোধিতা। কারণ, নাস্তিক্যবাদের মূলে কুঠারাঘাত করেছে ইসলাম। তারা আপনাকে জোর করে বোঝাতে চায়, মানুষের বানানো মূর্তির মতো আল্লাহ তায়ালাও একজন ভিত্তিহীন কল্পিত স্রষ্টা। মিথ-পুরাণের মতো কুরআনও মানুষের লেখা মিথ; যেখানে আছে অনেক ভুল। সাড়ে চোদ্দোশত বছর আগে আরব দেশের মুহাম্মাদ নামের একজন ব্যক্তির মনগড়া মতবাদ ‘ইসলাম’ আজকের দুনিয়ায় বড্ড সেকেলে, অচল জীবনদর্শন।
না, কক্ষনো না। চলুন একবার ঘুরে আসি স্রষ্টা, কুরআন, ইসলাম আর নাস্তিক্যবাদের সংঘাত জগতে…
৳ 335.00 -
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন
একজন মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়ো। পৃথিবীর সব মানুষই কমবেশি স্বপ্ন দেখে। ঘুমের ঘোরে হঠাৎ ঘোরা হাঁকিয়ে ছুটে যাওয়া, অথই সাগরে ডুবতে ডুবতে হারিয়ে যাওয়া, কুঁড়ে ঘরে শুয়ে রাজপ্রাসাদের ঘুরে বেড়ানো, দূর নীলিমায় পাখির ন্যায় আকাশ ছোঁয়া- মেন হাজারো স্বপ্ন আমাদের নিত্য সঙ্গী। আমি একদিন স্বপ্ন দেখলাম, আগ্রার তজমহল ঘুরে ঘুরে দেখছি। আর একদিন দেখলাম, বাইতুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করছি। এরই মধ্যে হঠাৎ করে যেন কারও স্পর্শে ঘুম ভেঙে গেল। জেগে উঠে দেখি, শিয়রে মা দাঁড়িয়ে আছেন। এমনটা আমাদের প্রায়ই হয়। এসব স্বপ্ন ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্ন। কিন্তু আমি তোমাদের যে স্বপ্নের কথা বলছি, তা জেগে দেখার স্বপ্ন এবং স্বপ্ন জেগেই দেখতে হয়।
এপিজে আবুল কালাম-এর ভাষায়–‘ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্ন আসল স্বপ্ন নয়, স্বপ্ন সেটা, যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।’
৳ 170.00 -
আত্মার ওষুধ
যে ব্যক্তি সৃষ্টির ভয়ে সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধকরণ হতে বিরত থাকে, তার মধ্য হতে আনুগত্যের প্রভাব উঠে যায়। ফলে সে যখন নিজ সন্তান কিংবা অধীনস্থদের আদেশ করে, তারা তাকে মান্য করে না।’
‘পাপের দরুন বান্দা যে দরজাই খুলতে যায়, তা বন্ধ পায়। সে যে কাজেই হাত দেয়, তা কঠিন হয়ে যায়। অন্যদিকে যে বান্দা আল্লাহকে ভয় করে, তার বিষয়াদি তিনি সহজ করে দেন। অতএব তাকওয়ার বিপরীত পথে চলা মানে ব্যক্তি নিজের কাজকে কঠিন করে ফেলল।’
এভাবে একের পর এক পাপের ক্ষতি বলে গেছেন ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম (রহ.) তার এই বইতে। পাপ থেকে বেঁচে থাকতে, আত্মাকে যাবতীয় রোগ বালাই থেকে সুস্থ করতে এটি ওষুধের মতো ভূমিকা পালন করবে ইন শা আল্লাহ।
আত্মার এই অপমৃত্যু রোধে নিজেকেই সবার আগে সোচ্চার হতে হয়। নিতে হয় জরুরী ব্যবস্থা। আজ থেকে শত বছর আগে এই বিষয়ে ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম বইটি লেখেন। আত্মার ব্যাধি, রিজিকে সংকীর্ণতা, কাজে কর্মে বরকত হারিয়ে ফেলা, মনের কাঠিন্য, প্রেমরোগ, সমকামিতা, শয়তান এবং তার দোসরদের ঘনিষ্ঠতা—মোট কথা মুমিনের হৃদয়-রাজ্যে আসা কঠিন থেকে কঠিন বিপদ আপদ মূলে যে পাপাচার দায়ী থাকে, সেই পাপের ক্ষতি, পাপের ফাঁদ এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে।
৳ 350.00 -
-
আলোকিত মানুষ সিরিজ ( ১-৬)
ইবনে তাইমিয়া -১ম
উর্বর ভূমিতে সব সময় ভালো গাছই জন্ম নেয়। উত্তম বৃক্ষের জন্ম হয়। ইবনে তাইমিয়া (রহ.) ছিলেন একটি উত্তর বৃক্ষ। তাঁর জন্ম হয়েছিল উর্বর ও পবিত্র জমিনে। কারণ, তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন এমন এক পরিবারে, ইলম ও ফিকহচর্চায় যাদের খ্যাতি ছিল দিগন্তজোড়া । তার বাবা,দাদা, ভাই, চাচা প্রমুখ সবাই হাম্বলি মাজহাবের প্রসিদ্ধ আলিম ছিলেন। এমনকি তার মা ও নানি ছিলেন আলেমা। ইবনে তাইমিয়ার পরিবার মুনষকে ভালো কাজে আদের করার জন্য ছিলে বিখ্যাত । তারা মানুষকে সৎকাজ করতে বলত । মন্দ কাজে নিষেধ করত। এই ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধে কারণেই মূলত তার পরিবারকে বলা হতো তাইমিয়া । এখান থেকে তিনি ও তাইমিয়া নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
খলিফা হারুনুর রশিদ -২য়
এক বরকতময় রাতে আব্বাসি আমলের স্বর্ণযুগের সূচনা হয়। এ রাতে জন্মগ্রহণ করে এক ছোট্ট শিশু। তার নাম রাখা হয় হারুন। বাবার নাম ছিল মুহাম্মাদ । দাদার নাম আবদুল্লাহ । তিনি ছিলেন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বংশধর আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বংশধর হওয়ার কারণে তাদের বলা হতো আব্বাসি। পরবর্তী সময়ে এই ছোট্ট শিশু হারুন ইসলামি সালতানাতের খলিফা হয়েছিলেন। আর তাকে উপাধি দেওয়া হয়েছিলে হারুনুর রশিদ।
খালিল ইবনে আহমদ- ৩য়
এক ছিলেন বুদ্ধিমান বালক। তিনি ছিলেন সর্বক্ষেত্রে অত্যন্ত বিচক্ষণ ও চৌকশ । তার নাম খলিল। পিতার নাম আহমাদ আমর । দাদার নাম তামিম আল ফারাহিদি। তিনি ওমানের বিখ্যাত ইয়াহমাদি বংশের আজদি শাখাগোত্রের মানুষ। ১০০ হিজরি সনে ওমানেই তার জন্ম হয়েছিল। অনেকেই আবার বলেন, তার জন্ম হয়েছিল বসরায় । বসরা ইরাকের বিখ্যাত একটি শহর।কথিত আছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর খলিলের বাবার নামিই সর্বপ্রথম আহমাদ রাখা হয়েছিল। বালক বয়সেই খলিল বসরায় চলে আসেন। সে সময় বসরা ছিল ইলমে নাহুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত। আচ্ছা, তোমরা কি জানো ইলমে নাহু কী? ইলমে নাহু এমন একটি বিজ্ঞান, যাতে আরবি বাক্যে ব্যবহৃত শব্দের শেষ বর্ণে হরকত কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
লাইস ইবনে সাদ-৪র্থ
দক্ষিণ মিশরের ছোট্ট একটি গ্রাম। গ্রামটির নাম কালকাশান্দা । এর অবস্থান কায়রো থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে। এ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ৯৪ হিজরিতে জন্ম হয় লাইস ইবনে সাদের। তার পরিবার ছিল অত্যন্ত সচ্ছল। চারপাশে ফসলের মাঠ। অপরূপ সৌন্দর্য়ে ভরা প্রকৃতি । নির্মল বাতাস বয়ে চলে সর্বক্ষণ। সর্বত্র। এটিই লাইস ইবনে সাদের গ্রাম। এ গ্রামেই তিনি বেড়ে ওঠেন।
আব্বাস ইবনে ফিরনাস -৫ম
অনেক দিন আগের কথা। এক ছিলেন ছোট্ট বালক। তাঁর চোখ দুটি ছিল উজ্জ্বল চকচকে । ছেলেটির নাম আব্বাস । বাবার নাম ফিরনাস। বাবার নামে সাথে মিলিয়ে মানুষ তাকে ডাকত আব্বাস ইবনে ফিরনাস নামে । আব্বাস ইবনে ফিরনাসের জন্ম হয়েছিল ১৮০ হিজরিতে। তখন ছিল খলিফা হিকাম ইবনে হিশামের শাসনামল। ছোট্টবেলা থেকেই আকাশ আর পাখিদের প্রতি ছিলে তার এক অনন্য টান। তিনি একমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন । ডানা মেলে পাখিদের উড়ে চলা নিবিড়ভাবে পর্য়বেক্ষণ করতেন । আর রাতে বেলা তারাদের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকতেন। মনে মেন ভাবতেন, কত সুন্দর করে পাখিরা উড়ে যায় দূর নীলিমায়। আমিও যদি উড়তে পারতাম পাখিদের মতো! যেতে পারতাম দূর আকাশের ওই তারাদের দেশে!
ইজ্জ ইবনে আবদুস সালাম -৬ষ্ঠ
সিরিয়ার রাজধানী দামেশক। আর দামেশক হলো ইতিহাস বিখ্যাত উমাইয়া মসজিদের শহর । এ শহরে বাস করত এক দরিদ্র পরিবার। অভাব- অনটন ও দুঃখ-কষ্ট সারাক্ষণ তাদের ঘরে লেগেই থাকত। ৫৭৭ হিজরি এ বাড়িতেই জন্ম হয় এক ফুটফুটে ছেলে সন্তানের । নাম রাখা হয় আবদুল আজিজ। তার বাবার নাম ছিল আবদুস সালাম। দাদার নাম কাসেম আদ-দিমাশকি। তবে মানুষের কাছে তিনি মুহাম্মাদ ইজ্জুদ্দিন আল মাগরিবি নামেই বেশি পরিচিত।
৳ 850.00 -
-
ইসলাম : সভ্যতার শেষ ঠিকানা
সভ্যতার মূল উপজীব্যবিশ্ব মাঝে শীর্ষ হবই হলো মানুষ। এই মানুষ যখন সুনির্দিষ্ট কতক মৌলিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, তখন সভ্যতা দাঁড়িয়ে যায় শক্ত ভিত্তির পাটাতনে। নিশান উড়াতে থাকে বিশ্বব্যাপী। আর মানুষ যখন সেই মৌলিক ভিত্তি হারিয়ে ফেলে, তখন সভ্যতা প্রস্তুত হতে থাকে অন্য কোনো উন্নত সভ্যতার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ার। গ্রিক, রোমান ও পারস্যের মতো প্রতাপশালী সভ্যতা এই দুটো নিয়ম মেনেই উত্থান-পতনের মুখোমুখি হয়েছিল। গ্রিক সভ্যতা আত্মসমর্পণ করেছিল রোমান সভ্যতার কাছে, আর রোমান ও পারস্য সভ্যতা ইসলামের কোলো।
ধীরে ধীরে ইসলামি সভ্যতার ধারক-বাহকদের বিচ্যুতি ঘটে। গ্রিক ও রোমান সভ্যতার ঔরস থেকে জন্ম নেওয়া ও বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতায় পুরো বিশ্বকে ভেড়াতে থাকে নিজের প্রভাব-বলয়ে। কিন্তু আজকের পশ্চিমা সভ্যতার যেসব আচরণ ও বৈশিষ্ট্য দৃশ্যমান, সেসব কারণেই পতন ঘটেছিল তার জন্মদাতার; এটাই যে চিরায়িত নিয়ম।
তাহলে কি অনিবার্য পরিণতি হিসেবেই এই সভ্যতার পতন অত্যাসন্ন? তখন কোথায় গিয়ে সভ্যতা আশ্রয় নেবে? আমরা দাবি করছি, সভ্যতা তার দীর্ঘ সফর শেষে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে আজ ইসলামের উদার বুকে ফিরে আসার দ্বারপ্রান্তে। ইসলাম : সভ্যতার শেষ ঠিকানা।
কিন্তু কীভাবে? চলুন উত্তর খুঁজি সভ্যতার বন্ধুর প্রান্তরে…
৳ 210.00 -
এরদোয়ান : দ্যা চেঞ্জ মেকার
রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একজন ক্যারিশম্যাটিক ও জনপ্রিয় নেতা। বিংশ শতাব্দীর শেষ ও একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এই নেতার উত্থান। ২০০১ সালে একে পার্টি গঠনের মাধ্যমে ‘নতুন তুরস্ক’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০০২ সালের নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন তিনি। টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায়। তাঁর নেতৃত্বকেই তুরস্ক বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বর্তমান তুরস্ক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে। শুধু উন্নয়নই নয়; এরদোয়ান জয় করেছেন তাঁর দেশের সাধারণ জনগণের হৃদয়ও। তুরস্কের সীমানা ছাড়িয়ে দুনিয়াব্যাপী তাঁর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বিশ্ব রাজনীতিতে এরদোয়ান একজন অন্যতম নীতিনির্ধারকে পরিণত হয়েছেন। বিশ্বের মজলুম মানুষের পাশে তিনি সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তবে এরদোয়ানের এই দীর্ঘ সফলতার পথচলা মোটেই সহজ ছিল না। অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে তাঁকে এখানে এসে পৌঁছতে হয়েছে। গ্রহণ করতে হয়েছে বিশাল চ্যালেঞ্জ, মোকাবিলা করতে হয়েছে বড়ো বড়ো বাধা ও পরীক্ষা। কিন্তু তিনি থেমে যাননি; শুধু সামনেই এগিয়েছেন। করেছেন বড়ো বড়ো পরিবর্তন। আর তাই তো তাঁর সবচেয়ে বড়ো পরিচয়, তিনি ‘চেঞ্জ মেকার’।
৳ 315.00 -
কুরআনের চিঠি
আল কুরআন আমাদের জীবনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে যেন প্রতিটি আয়াতে আমাকে বন্ধুর মতো গাইড করছে। আমার সুখ-দুঃখের সময়গুলোতে দেখাচ্ছে সঠিক পথের দিশা। আমার চলার পথকে করছে প্রশস্ত। অন্ধকারে অফুরন্ত রোশনাই নিয়ে হাজির হচ্ছে আমার সামনে। আমি যখন সংকটে পড়ি, হতাশায় ভুগি, সে যেন আমার কাঁধে হাত রেখে বলে-‘চিন্তা করো না, আমি তো আছিই।’
ঠিক বন্ধুর মতো কথামালা নিয়েই থরে থরে সাজানো হয়েছে কুরআনের চিঠি বইটি।
৳ 165.00 -
-
-
-
-
-
-
ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড
তামিম আনসারী রচিত ‘Destiny Disrupted: History Of The World Through Islamic Eyes’ বইটি ২০০৯ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক দিন সর্বাধিক বিক্রিত বই হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০১০ সালে বইটি নর্থান ক্যালিফোর্নিয়া বুক অ্যাওয়ার্ড লাভ করে। মূলত পশ্চিমাদের জানা ইতিহাসের বাইরে এই বইটিতে ভিন্ন এক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মের সাল ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শুরু করে ২০০১ সালে আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪শত বছরের ঘটনাবলীকে এখানে অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিমা বিকৃত ইতিহাস নয়, বরং ঘটনার শেকড়ে গিয়ে সত্যিকারের ইতিহাসকে নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বইটিকে ইসলামি ইতিহাসের এনসাইক্লোপিডিয়া বললেও অত্যুক্তি হবে না। বইটির পাতায় পাতায় আছে তথ্য, আছে শিহরণ জাগানো গল্প, আছে ঘটনার সামনের ও পেছনের প্রেক্ষাপটের চমৎকার পর্যালোচনা। পাঠকেরা বইটি পড়ে আনন্দ পাবেন নিঃসন্দেহে, তবে তার চেয়ে বড় কথা পাঠকবৃন্দ এই বইটি পড়ে আরও পরিণত হবেন, তাদের জ্ঞানের ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। ইসলামের চোখে তারা ইতিহাসকে নতুন করে আবিষ্কার করবেন।
৳ 330.00 -
দ্যা রিভার্টস : ফিরে আসার গল্প
এই ধর্মবিবর্জিত আধুনিক সময়ে আঠারো-উনিশ বছরের তরুণ-তরুণী আসলে কী চায়? কী তাদের সুখী করে? ঘুরে-ফিরে আসবে দামি ল্যাপটপ, মোবাইল, নাটক-সিনেমা, গান, মাদক কিংবা একজন ভালোবাসার মানুষের কথা। কিন্তু বাস্তবেই কি এগুলো মানুষকে সুখী করতে পারে? তাই যদি হতো, তাহলে কেন আজ ঘরে ঘরে এত অশান্তি? কেন বাড়ছে আত্মহত্যা, হতাশা আর মাদকের ব্যবহার? কেন বাড়ছে খুন, হত্যা, ধর্ষণ? সাত্যিকারার্থে মানুষের সুখ কোথায়? কোথায় পাওয়া যায় মনের গভীরের প্রশান্তি? আসলে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যই-বা কী?
এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমাদের প্রয়াস ‘দ্যা রিভার্টস : ফিরে আসার গল্প’। এখানে আমরা জানব, পশ্চিমা দুনিয়ায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠেও কী করে মানুষ শান্তির আশায় হন্যে হয়ে ঘুরছে। আমরা জানব- কী করে তারা খুঁজে পেলেন জীবনের আসল উদ্দেশ্য, আলোর পথ। জেনে নেব- অতীত মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়তে কোন জিনিস তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
৳ 260.00 -
নাফ নদীর ওপারে
বিশ্ব রাজনীতির হাওয়া নিজের পালে নিতে এক চাকচিক্যময় অস্ত্রের নাম মানবাধিকার; কিন্তু এই মানবাধিকারের সমস্ত বয়ান যেন এক জায়গায় এসে থমকে দাঁড়ায়। তা হলো- মুসলিম মানবাধিকারের প্রশ্ন। মুসলিমদের যেন মানবাধিকার থাকতে নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখণ্ডে মুসলিমদের ওপর যে ধারবাহিক নির্যাতন চলছে, তারই একটি অংশ হিসেবে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর চলেছে অকথ্য নির্যাতন। হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের পর দেশছাড়াও করেছে তাদের। প্রিয় মাতৃভূমি হারিয়ে তারা এখন শরণার্থী; অন্যের আশ্রয়ের করুণাপ্রার্থী। মায়নমারের সামরিক জান্তাদের দাবি- রোহিঙ্গারা রাখাইনের নাগরিক নয়; তাহলে তারা কে? কোথা থেকে তারা এলো সেখানে? কী তাদের ইতিহাস? মায়ানমারে তাদের অবদানই-বা কী? এই সমস্ত প্রশ্নের বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই বইতে। ‘নাফ নদীর ওপারে’ বইটি সাজানো হয়েছে প্রায় তিনশত রেফারেন্সের সমন্বয়ে। এতে স্থান পেয়েছে রোহিঙ্গা জাতির শুরু থেকে অদ্যাবধি উল্লেখ্যযোগ্য সব ঘটনাপ্রবাহ। এই বইটিকে বলা যেতে পারে রোহিঙ্গাদের একটি এনসাইক্লোপিডিয়া।
৳ 175.00 -
নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া
আঁধার রাতের মুসাফির অনুসন্ধিুৎসু চোখে শুধুই আলো খুঁজে ফেরে। কাফেলাকে মঞ্জিলে পৌঁছাতে আলোকমশাল তখন অনিবার্য দিশা। নিকষ আঁধারে দুনিয়া এখন বড্ড দিশেহারা। মুক্তি কোথায়? টলোমলো জাহাজকে কে তীরে ভেড়াবে? আজ বড়ো প্রয়োজন একঝাঁক দক্ষ নাবিকের। প্রত্যাশিত নাবিকদের উদ্দেশ্যে ‘নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া’।
৳ 250.00