-
আত্মার ওষুধ
যে ব্যক্তি সৃষ্টির ভয়ে সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধকরণ হতে বিরত থাকে, তার মধ্য হতে আনুগত্যের প্রভাব উঠে যায়। ফলে সে যখন নিজ সন্তান কিংবা অধীনস্থদের আদেশ করে, তারা তাকে মান্য করে না।’
‘পাপের দরুন বান্দা যে দরজাই খুলতে যায়, তা বন্ধ পায়। সে যে কাজেই হাত দেয়, তা কঠিন হয়ে যায়। অন্যদিকে যে বান্দা আল্লাহকে ভয় করে, তার বিষয়াদি তিনি সহজ করে দেন। অতএব তাকওয়ার বিপরীত পথে চলা মানে ব্যক্তি নিজের কাজকে কঠিন করে ফেলল।’
এভাবে একের পর এক পাপের ক্ষতি বলে গেছেন ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম (রহ.) তার এই বইতে। পাপ থেকে বেঁচে থাকতে, আত্মাকে যাবতীয় রোগ বালাই থেকে সুস্থ করতে এটি ওষুধের মতো ভূমিকা পালন করবে ইন শা আল্লাহ।
আত্মার এই অপমৃত্যু রোধে নিজেকেই সবার আগে সোচ্চার হতে হয়। নিতে হয় জরুরী ব্যবস্থা। আজ থেকে শত বছর আগে এই বিষয়ে ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম বইটি লেখেন। আত্মার ব্যাধি, রিজিকে সংকীর্ণতা, কাজে কর্মে বরকত হারিয়ে ফেলা, মনের কাঠিন্য, প্রেমরোগ, সমকামিতা, শয়তান এবং তার দোসরদের ঘনিষ্ঠতা—মোট কথা মুমিনের হৃদয়-রাজ্যে আসা কঠিন থেকে কঠিন বিপদ আপদ মূলে যে পাপাচার দায়ী থাকে, সেই পাপের ক্ষতি, পাপের ফাঁদ এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে।
৳ 350.00 -
-
ইসলাম : সভ্যতার শেষ ঠিকানা
সভ্যতার মূল উপজীব্যবিশ্ব মাঝে শীর্ষ হবই হলো মানুষ। এই মানুষ যখন সুনির্দিষ্ট কতক মৌলিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, তখন সভ্যতা দাঁড়িয়ে যায় শক্ত ভিত্তির পাটাতনে। নিশান উড়াতে থাকে বিশ্বব্যাপী। আর মানুষ যখন সেই মৌলিক ভিত্তি হারিয়ে ফেলে, তখন সভ্যতা প্রস্তুত হতে থাকে অন্য কোনো উন্নত সভ্যতার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ার। গ্রিক, রোমান ও পারস্যের মতো প্রতাপশালী সভ্যতা এই দুটো নিয়ম মেনেই উত্থান-পতনের মুখোমুখি হয়েছিল। গ্রিক সভ্যতা আত্মসমর্পণ করেছিল রোমান সভ্যতার কাছে, আর রোমান ও পারস্য সভ্যতা ইসলামের কোলো।
ধীরে ধীরে ইসলামি সভ্যতার ধারক-বাহকদের বিচ্যুতি ঘটে। গ্রিক ও রোমান সভ্যতার ঔরস থেকে জন্ম নেওয়া ও বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতায় পুরো বিশ্বকে ভেড়াতে থাকে নিজের প্রভাব-বলয়ে। কিন্তু আজকের পশ্চিমা সভ্যতার যেসব আচরণ ও বৈশিষ্ট্য দৃশ্যমান, সেসব কারণেই পতন ঘটেছিল তার জন্মদাতার; এটাই যে চিরায়িত নিয়ম।
তাহলে কি অনিবার্য পরিণতি হিসেবেই এই সভ্যতার পতন অত্যাসন্ন? তখন কোথায় গিয়ে সভ্যতা আশ্রয় নেবে? আমরা দাবি করছি, সভ্যতা তার দীর্ঘ সফর শেষে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে আজ ইসলামের উদার বুকে ফিরে আসার দ্বারপ্রান্তে। ইসলাম : সভ্যতার শেষ ঠিকানা।
কিন্তু কীভাবে? চলুন উত্তর খুঁজি সভ্যতার বন্ধুর প্রান্তরে…
৳ 210.00 -
এরদোয়ান : দ্যা চেঞ্জ মেকার
রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একজন ক্যারিশম্যাটিক ও জনপ্রিয় নেতা। বিংশ শতাব্দীর শেষ ও একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এই নেতার উত্থান। ২০০১ সালে একে পার্টি গঠনের মাধ্যমে ‘নতুন তুরস্ক’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০০২ সালের নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন তিনি। টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায়। তাঁর নেতৃত্বকেই তুরস্ক বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বর্তমান তুরস্ক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে। শুধু উন্নয়নই নয়; এরদোয়ান জয় করেছেন তাঁর দেশের সাধারণ জনগণের হৃদয়ও। তুরস্কের সীমানা ছাড়িয়ে দুনিয়াব্যাপী তাঁর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বিশ্ব রাজনীতিতে এরদোয়ান একজন অন্যতম নীতিনির্ধারকে পরিণত হয়েছেন। বিশ্বের মজলুম মানুষের পাশে তিনি সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তবে এরদোয়ানের এই দীর্ঘ সফলতার পথচলা মোটেই সহজ ছিল না। অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে তাঁকে এখানে এসে পৌঁছতে হয়েছে। গ্রহণ করতে হয়েছে বিশাল চ্যালেঞ্জ, মোকাবিলা করতে হয়েছে বড়ো বড়ো বাধা ও পরীক্ষা। কিন্তু তিনি থেমে যাননি; শুধু সামনেই এগিয়েছেন। করেছেন বড়ো বড়ো পরিবর্তন। আর তাই তো তাঁর সবচেয়ে বড়ো পরিচয়, তিনি ‘চেঞ্জ মেকার’।
৳ 315.00 -
কুরআনের চিঠি
আল কুরআন আমাদের জীবনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে যেন প্রতিটি আয়াতে আমাকে বন্ধুর মতো গাইড করছে। আমার সুখ-দুঃখের সময়গুলোতে দেখাচ্ছে সঠিক পথের দিশা। আমার চলার পথকে করছে প্রশস্ত। অন্ধকারে অফুরন্ত রোশনাই নিয়ে হাজির হচ্ছে আমার সামনে। আমি যখন সংকটে পড়ি, হতাশায় ভুগি, সে যেন আমার কাঁধে হাত রেখে বলে-‘চিন্তা করো না, আমি তো আছিই।’
ঠিক বন্ধুর মতো কথামালা নিয়েই থরে থরে সাজানো হয়েছে কুরআনের চিঠি বইটি।
৳ 165.00 -
-
-
-
ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড
তামিম আনসারী রচিত ‘Destiny Disrupted: History Of The World Through Islamic Eyes’ বইটি ২০০৯ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক দিন সর্বাধিক বিক্রিত বই হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০১০ সালে বইটি নর্থান ক্যালিফোর্নিয়া বুক অ্যাওয়ার্ড লাভ করে। মূলত পশ্চিমাদের জানা ইতিহাসের বাইরে এই বইটিতে ভিন্ন এক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মের সাল ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শুরু করে ২০০১ সালে আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪শত বছরের ঘটনাবলীকে এখানে অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিমা বিকৃত ইতিহাস নয়, বরং ঘটনার শেকড়ে গিয়ে সত্যিকারের ইতিহাসকে নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বইটিকে ইসলামি ইতিহাসের এনসাইক্লোপিডিয়া বললেও অত্যুক্তি হবে না। বইটির পাতায় পাতায় আছে তথ্য, আছে শিহরণ জাগানো গল্প, আছে ঘটনার সামনের ও পেছনের প্রেক্ষাপটের চমৎকার পর্যালোচনা। পাঠকেরা বইটি পড়ে আনন্দ পাবেন নিঃসন্দেহে, তবে তার চেয়ে বড় কথা পাঠকবৃন্দ এই বইটি পড়ে আরও পরিণত হবেন, তাদের জ্ঞানের ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। ইসলামের চোখে তারা ইতিহাসকে নতুন করে আবিষ্কার করবেন।
৳ 330.00 -
নাফ নদীর ওপারে
বিশ্ব রাজনীতির হাওয়া নিজের পালে নিতে এক চাকচিক্যময় অস্ত্রের নাম মানবাধিকার; কিন্তু এই মানবাধিকারের সমস্ত বয়ান যেন এক জায়গায় এসে থমকে দাঁড়ায়। তা হলো- মুসলিম মানবাধিকারের প্রশ্ন। মুসলিমদের যেন মানবাধিকার থাকতে নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখণ্ডে মুসলিমদের ওপর যে ধারবাহিক নির্যাতন চলছে, তারই একটি অংশ হিসেবে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর চলেছে অকথ্য নির্যাতন। হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের পর দেশছাড়াও করেছে তাদের। প্রিয় মাতৃভূমি হারিয়ে তারা এখন শরণার্থী; অন্যের আশ্রয়ের করুণাপ্রার্থী। মায়নমারের সামরিক জান্তাদের দাবি- রোহিঙ্গারা রাখাইনের নাগরিক নয়; তাহলে তারা কে? কোথা থেকে তারা এলো সেখানে? কী তাদের ইতিহাস? মায়ানমারে তাদের অবদানই-বা কী? এই সমস্ত প্রশ্নের বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই বইতে। ‘নাফ নদীর ওপারে’ বইটি সাজানো হয়েছে প্রায় তিনশত রেফারেন্সের সমন্বয়ে। এতে স্থান পেয়েছে রোহিঙ্গা জাতির শুরু থেকে অদ্যাবধি উল্লেখ্যযোগ্য সব ঘটনাপ্রবাহ। এই বইটিকে বলা যেতে পারে রোহিঙ্গাদের একটি এনসাইক্লোপিডিয়া।
৳ 175.00 -
নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া
আঁধার রাতের মুসাফির অনুসন্ধিুৎসু চোখে শুধুই আলো খুঁজে ফেরে। কাফেলাকে মঞ্জিলে পৌঁছাতে আলোকমশাল তখন অনিবার্য দিশা। নিকষ আঁধারে দুনিয়া এখন বড্ড দিশেহারা। মুক্তি কোথায়? টলোমলো জাহাজকে কে তীরে ভেড়াবে? আজ বড়ো প্রয়োজন একঝাঁক দক্ষ নাবিকের। প্রত্যাশিত নাবিকদের উদ্দেশ্যে ‘নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া’।
৳ 250.00 -
-
বাতিঘর
জীবনের একটি বড়ো প্রকল্পের নাম পরিবার; যার অন্যতম প্রধান চরিত্র নারী। ধারণা করা হয়, পরিবারের সামগ্রিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যরে অনেকাংশই নারী সদস্যদের ভূমিকার ওপর নির্ভরশীল। তাদের কাঁধে চাপানো থাকে সবার মন জোগানোর দায়িত্বটাও। তাই নারীকে হতে হয় বিচক্ষণ ও নেতৃত্বের গুণে গুণান্বিত। অপরিহার্য হয়ে পড়ে পরিবারের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কোন্নয়নের; আপন সঙ্গী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদের সঙ্গে বোঝাপড়ার, পরস্পরের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও খুঁটিনাটি বিষয়ে সমঝোতার।
কিন্তু কীভাবে?
এর সমাধান খোঁজা হয়েছে অর্ধশত বছরের তীক্ষ্ম অভিজ্ঞতা থেকে; পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রায় পরিশ্রান্ত চোখের ক্লান্ত চাহনি থেকে। পারিবারিক বন্ধন এবং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কিত এই ভাবনাগুলো প্রত্যেকের মনোজগৎকেই আলোড়িত করবে। ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে প্রত্যেকেই সচেতন হবে। সংকীর্ণ ও দাসত্বমূলক মনোভাব পরিহার করে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব সৃষ্টিতে জনপ্রিয় লেখিকা মাসুদা সুলতানা রুমির জীবনঘনিষ্ঠ চিন্তাধারা সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ।
পথ চলা শুরু হোক সেই অনন্ত ভালোবাসার পথে…
৳ 250.00 -
-
-
মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধের নির্মাণ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ইসলাম যে ডিসকোর্স হিসেবে হাজির ছিলো, তার অনুপুঙ্খ অনুসন্ধানের একটা প্রয়াস ‘মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম’। ইতিহাসের হাত ধরে ঐতিহ্য নির্মিত হয়; ইতিহাসের পাঠ তাই নির্মোই হওয়া সময়ের দাবি। চিন্তাশীল লেখক পিনাকী ভট্টচার্য মহান মুক্তিযুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠের যাপিত ধর্ম আল-ইসলামের অবস্থান ও বয়ানকে উপস্থাপন করতে তথ্য ও প্রমাণের সাগর পাড়ি দিয়েছেন। অবগুণ্ঠন উন্মোচনের এক ইতিহাসের সফরে আপনাকে স্বাগত।
৳ 175.00 -
-
-
সানজাক-ই উসমান
আপনি কয়জন সিরিয়াল কিলারকে চেনেন? এই জগতের ইতিহাসে ভয়ংকরতম খুনির সাথে কি আপনার দেখা হয়েছে?
‘সানজাক-ই উসমান আপনাকে তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে চলেছে। তাকে দেখতে হলে আমাদের উঁকি দিতে হবে আটশো বছর আগের পৃথিবীতে।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে যেন স্বয়ং আজরাইল হয়ে নেমে এলেন চেঙ্গিজ খান এবং তার মোঙ্গল বাহিনী। মাত্র কুড়ি বছরের ভেতর যেন নরকে পরিণত হলো সারা পৃথিবী। প্রথমে চীন, তারপর তুর্কিস্তান আর খোরাসান হয়ে মোঙ্গলঝড় ধেয়ে এলো ককেশাস, আনাতোলিয়া দিয়ে রাশিয়া আর হিন্দুস্তানের দিকে। মরে সাফ হয়ে গেল কোটি কোটি মানুষ।
মোঙ্গলদের হাত থেকে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ইরান তুর্কিস্তান থেকে আনাতোলিয়ার দিকে রওনা দিলো কিছু মানুষ।
তারপর কী হলো? কী করে তারা গড়ে তুলল বিশাল এক সালতানাত? মোঙ্গলদের হাত থেকে কারা বাঁচালো মক্কা-মদিনাকে?
এটা কোনো নিয়মিত ইতিহাসের বই বা কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এটা একই সঙ্গে ইতিহাস, ফিকশন আর থ্রিলার। আজকের পৃথিবী কী করে নির্মাণ হলো, তা জানতে এই বই আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ।
৳ 480.00